নিজস্ব সংবাদদাতা , বাঁকুড়া : কেন্দ্র সরকারের গুদাম ঘরে আন্দোলন নিরাপত্তারক্ষীদের। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া বিকনা ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার গুদামঘরে। চুপিসারে নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে থাকা ২৪ জনকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তারা। প্রসঙ্গত ২০০৯ সাল থেকে প্রায় ২৪ জন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছেন একটি এজেন্সীর হাত ধরে। নিরাপত্তারক্ষীর কাজে যুক্ত থাকা কর্মীদের দাবি, বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দক্ষতার সাথে দীর্ঘ এক দশকের বেশী সময় ধরে কাজ করে চলেছেন তারা। এর আগেও চুপিসারে স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীদের নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে নিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। কিন্তু বেসরকারী এজেন্সীর হাত ধরে নিয়োজিত স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীরা আন্দোলন করে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। ফের নতুন ছক কষে স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিভাগের এক শ্রেনীর আধিকারিকরা অন্য ভাবে স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীদের অন্ধকারে রেখে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করেছে।
ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ওয়াচ ম্যান দের নিয়ে আসা হচ্ছে বিকনা গুদামঘরের ওয়াচ ম্যানের কাজে। আন্দোলনকারী নিরাপত্তারক্ষিদের অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে থাকা ২৪ জন কে সরিয়ে ওয়াচ ম্যান রেখে সেই ওয়াচ ম্যানদের সরিয়ে পরে প্রাক্তন সেনাদের নিরাপত্তারক্ষীর কাজে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে অনান্য বেশ কয়েকটি জেলায়। এর ফলে বাঁকুড়ার বিকনা ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার নিরাপত্তার কাজে যুক্ত থাকা প্রায় ২৪ জন কাজ হারানোর আশংখ্যা করছেন। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বিকনা ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার নিরাপত্তার কাজে যুক্ত থাকা নিরাপত্তারক্ষীর। বর্তমানে নিরাপত্তার কাজে যক্ত থাকা কর্মীদের দাবি, বেসরকারী এজেন্সির মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে সংসার চলছে ২৪ টি পরিবারের। ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার এক শ্রেণীর আধিকারিকদের দালালি চক্রের কারনে কাজ হারাতে বসেছেন তারা। পেটের ভাত কেড়ে নেবার চেষ্টা করছেন তারা। এই দাবি কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। বুধবার সকাল থেকেই বিকনা কেন্দ্রীয় সরকারের গুদামঘরের সামনে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। আন্দোলরত নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, কোন ভাবেই স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীদের কর্মহীন করা যাবে না। গোপনে স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীদের সরানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আগামী দিনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কর্মীদের যদি সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে গেটের সামনে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন আন্দোলনকারীরা হুশিয়ারি দিলেন তারা ।