এক গৃহবধূকে দুবার কোভিড ভ্যাকসিন পখন্না স্বাস্থ্য কেন্দ্রে! চরম আতঙ্কে মহিলা

Rangamati Express
0


স্টাফ রিপোর্টার, বাঁকুড়া : এক মহিলাকে করোনার ভ্যাকসিনের  একসাথে দুটি ডোজ দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ায়। অভিযোগ এদিন বড়জোড়া ব্লকের  স্থানীয় পখন্না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার ভ্যাকসিন নিতে গেলে রাজমাধবপুর গ্রামের গৃহবধূ মন্দিরা পাল কে কোভিশিল্ডের পরপর দুটি ডোজ দিয়ে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সিং কর্মী। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় এখন রীতিমত শঙ্কিত গোটা পরিবার। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বাঁকুড়ার রাজমাধপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক পরিবারের গৃহবধূ মন্দিরা পাল স্থানীয় আশাকর্মীর মাধ্যমে জানতে পারেন ৬ থেকে ১২ বছর শিশুদের মায়েদের টিকা দেওয়া হবে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। খবর পেয়ে আজ নিজের ৯ মাসের কোলের দ্বিতীয় সন্তানকে নিয়ে গ্রাম থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে থাকা পখন্না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাজির হন মন্দিরা পাল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর আধার কার্ড দেখে আর পাঁচ জন মায়ের মতোই নির্দিষ্ট আপে তথ্য এন্ট্রি করেন সাস্থ্যকর্মীরা। এরপর তাঁর বাম হাতে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেন এক স্বাস্থ্য কর্মী। এরপর নিয়ম অনুযায়ী মন্দিরা পালকে কিছুক্ষণ বসতে বলেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ কিছুক্ষণ পরেই ফের ওই স্বাস্থ্য কর্মী আবার তাঁর বাম হাতে টিকার দ্বিতীয় ইঞ্জেকশান দেন। টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে মন্দিরা দেবী অন্যান্যদের মুখে শুনেছিলেন টিকার দুটি ইঞ্জেকশান নিতে হবে। কিন্তু তা যে নির্দিষ্ট দিন অন্তর দেওয়ার নিয়ম তা  জানতেন না তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি টিকার দ্বিতীয় ইঞ্জেকশান দেওয়ার সময় প্রতিবাদ জানাননি। পরে অন্যান্যদের একটি ইঞ্জেকশান দেওয়া হয়েছে শুনে তাঁকে কেন দুটি ইঞ্জেকশান দেওয়া হল তা জানতে চান স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে। মন্দিরা পালের দাবি একথা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে জানতে চাওয়ায় তাঁদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরী হয়। এরপর মন্দিরা দেবীকে প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বসিয়ে রাখা হয় হাসপাতালে। পরে ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ একসাথে দেওয়া হলেও মন্দিরা পালের শরীরে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)