সকলকেই পেনশন আওতায় আনার দাবিতে ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে রোজ এক ঘন্টার বিক্ষোভ

Rangamati Express
0


নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া : কেন্দ্রীয় সরকারের পুরানো পেনশন নীতি চালু করার দাবিতে ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের জমিহারা পরিবার থেকে আসা গ্রুপ সি/ডি ও আপগ্রেডেশন গ্রুপ বি কর্মীরা বিক্ষোভ আন্দোলনে নামলেন। গত ১ নভেম্বর থেকে প্রকল্পের প্রায় আড়াইশো কর্মী গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা । এই কর্মীরা প্রত্যেকদিন অফিসে হাজিরা দিয়ে এবং যারা শিফটিং ডিউটি করেন তারা সকাল বেলা 11 টা থেকে একসাথে মিলিত হয়ে ১ ঘন্টা চিফ ইঞ্জিনিয়ার অফিস বিদ্যুৎ ভবনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। তারা জানিয়েছেন তাদের দাবি মানা না হলে এই আন্দোলন লাগাতার ভাবে চলবে। তাদের এই দাবি ও আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে ডিভিসির আইএনটিইউসি, সিটু, ইউটিইউসি, বিএমএস, আইএনটিটিইউসি সহ সমস্ত স্থায়ী কর্মী ইউনিয়ন গুলি।  তাদের দাবি অবিলম্বে সকল ভূমিহারা পরিবার থেকে ডিভিসিতে স্থায়ী চাকরি পাওয়া কর্মীদের পুরানো পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে হবে। যতদিন না তাদের দাবী মানা হচ্ছে ততদিন এভাবে বিক্ষোভ চলবে। প্রয়োজনে তারা পেন ডাউন করে কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হবেন। পেনশন থেকে বঞ্চিত এই সব কর্মীরা ডিভিসির সদর দপ্তর কলকাতার ডিভিসি টাওয়ারর্সে চেয়ারম্যানকে আবেদন পত্র পাঠিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আটের দশকের শেষে ডিভিসি এমটিপিএসের নির্মাণ কাজ শুরু করে। কারখানা করতে এখানের বেশ কয়েকটি গ্রামের চাষ জমি ও বাস্তু বাড়ি অধিগ্রহণ করে দেয় রাজ্য সরকার। জমি ও বাস্তুহারাদের দাবি মত ১৯৯৪ সালে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে ডিভিসি ও রাজ্য  সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয় ৫২০ জন ভূমিহারাকে ডিভিসিতে স্থায়ী চাকরি দেওয়া হবে। এবং লিখিত চুক্তিতে বলা হয় প্রকল্পের ৩ নম্বর ইউনিট চালু হওয়ার সাথে সাথে এই সমস্ত ভূমিহারাদের নিয়োগ করা হবে। ১৯৯৮ সালে ডিভিসির ৩ টি ইউনিট থেকেই বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করলেও ভূমিহারা পরিবার থেকে সকলকে নিয়োগ করা হয়নি। ২০০৪ সালের আগে পর্যন্ত ২৮০ জনকে নিয়োগ করা হলেও বাকিদের নিয়োগ হয় ২০০৮ সালে। ইতিমধ্যে ভারত সরকার একটি সার্কুলার প্রকাশ করে জানান ১ জানুয়ারি ২০০৪ সালের পরে যারা কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থায় নিয়োগ হয়েছেন তারা পেনশন প্রকল্প থেকে বাদ যাবেন। পরে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফের আরেকটি সার্কুলারে বলা হয় ১ জানুয়ারি ২০০৪ এর আগে যাদের ইন্টারভিউ হয়ে প্যানেল ভুক্ত হয়ে আছেন তারা পেনশন আওতার সুযোগ পাবেন। এখানের ভুমিহারাদের দাবি তারা সকলেই চুক্তিমত ১৯৯৪ সাল থেকেই প্যানেল ভুক্ত। ডিভিসি গাফিলতি করে প্যানেলের অর্ধেক চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগ করে বাকিদের বঞ্চিত করেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)