অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য , বাঁকুড়া ( রাঙামাটি এক্সপ্রেস ) : আবারো আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় । কারণ তাঁর ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে যেসব মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রেনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছিল তা থেকে তথ্য উদ্ধার করে ফেলেছে ইডি।
এমনটাও মনে করা হচ্ছে যে ওইসব তথ্যের উপরে ভিত্তি করে পার্থ ও অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করাও হতে পারে।
গত ২২ জুলাই ডায়মন্ড সিটি সাউথে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। বিপুল টাকার পাশাপাশি তল্লাশিতে উদ্ধার হয় ২২টি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ইলেকট্রেনিক ডিভাইস। সেইসব ফোন ও ডিভাইসের মধ্য়ে কী রয়েছে তা জানতে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়েছিল ইডি। গত ২ অগাস্ট সেই রিপোর্ট চলে এসেছে ইডির হাতে। তাতে মিলেছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ইডি সূত্রে খবর ওই রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে, পণ্ডিতিয়া রোডের একটি ফ্ল্যাটকেও অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বলে মনে করা হচ্ছে। সেটি রয়েছে বেনামে। সেই ফ্ল্য়াটেও তল্লাশি চালাল ইডি। মঙ্গলবার পণ্ডিতিয়া রোডের ওই ফ্ল্য়াটে তল্লাশির জন্য আসেন ইডির আধিকারিকরা। টানা ৯ ঘণ্টা তারা সেখানে ছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তল্লাশি তাঁরা শুরু করতে পারেননি কিছু টেকনিক্যাল ও আইনি জটিলতায়। পণ্ডিতিয়া রোডের ওই আবাসনের ৬ নম্বর টাওয়ারের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে নেই। যে ব্যক্তির নামে ওই ফ্ল্য়াট তাঁর সঙ্গে গত মঙ্লবার থেকে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি ইডির তদন্তকারীরা। আজ এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের একটি টিম সোজা চলে যায় রবীন্দ্রসরোবর থানায়। সেখানে গিয়ে তল্লাশির জন্য একটি আবেদন করা হয়।
রবীন্দ্র সরোবর থানায় আবেদন করে আইনি জট নিঃশেষ করে পুলিসকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাট এ আসেন ইডির গোয়েন্দারা। তারপর চাবি ভাঙার লোক ডেকে দরজা খোলা হয়। ইডির সন্দেহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি ওই ফ্ল্যাট থেকে মিলতে পারে।
ইডি সূত্রে খবর ২০১৫ সালে ওই আবাসনের ডেভলপারের সঙ্গে কথা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই আবাসনের একটি ফ্ল্যাট পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের মেয়ের নামে বরাদ্দ করার কথা হয়। ৫০৩ নম্বর ওই ফ্ল্যাটটি অন্য একজনের নামে হলেও তার দেখভাল করতেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। সেই সূত্রেই ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। কাদের মাধ্যমে ওই ফ্ল্যাটটি পার্থ নিয়ন্ত্রণ করতেন তা জানতে চাইছে ইডি। আবাসনের বাসিন্ধারা ওই ফ্ল্যাটটি সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে পারছেন না।