মলয় সিংহ, বাঁকুড়া: চলতি বছরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে রাজ্যে সুনাম কুড়িয়েছিল বাঁকুড়া।
এবার জাতীয় শিক্ষক সম্মান পেতে চলেছেন বাঁকুড়ার জয়পুরের শিক্ষক বুদ্ধদেব দত্ত। আর বুদ্ধদেব বাবুর এহেন সাফল্য জেলার মস্তকে এক নবতম মুকুট যে এনেদিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পড়ুয়াদের প্রকৃত শিক্ষা প্রদান,শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক ও শারীরিক বিকাশ যার একমাত্র লক্ষ্য , বাঁকুড়ার জয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই সহ শিক্ষক বুদ্ধদেব দত্ত পেতে চলেছেন জাতীয় শিক্ষকের সন্মান। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক কোন কোন রাজ্য থেকে কোন কোন শিক্ষক জাতীয় শিক্ষক অভিধায় ভূষিত হচ্ছেন তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেই সেরা শিক্ষকের তালিকায় এবার রাজ্যের এক শিক্ষক জায়গা করে নিলেন, তিনি বাঁকুড়ার জয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক বুদ্ধদেব দত্ত। জানা যায় দেশ জুড়ে মোট ৪৬ জন শিক্ষক কে এই বিশেষ জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হবে তার মধ্য থেকে এই প্রথম কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এই সন্মান পেতে চলেছেন। আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের পুণ্যলগ্নে বিজ্ঞান ভবনে বুদ্ধবাবুকে এই সন্মানে ভূষিত করা হবে বলে জানাযায়। এর আগেও তিনি ২০২০ সালে শিক্ষারত্ন পুরষ্কার লাভ করেন । আর বুদ্ধবাবুর জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার পাওয়া নিয়ে যেমন রাজ্যজুড়ে খুশির হাওয়া বয়ছে, ঠিক তারই অনুকূলে প্রবাহিত হচ্ছে জেলা জুড়ে খুশির জোয়ার। আর এই জোয়ারে গা ভাসিয়েছে জঙ্গলেভরা বাঁকুড়ার জয়পুরবাসীও। স্কুলের শিক্ষক থেকে শিক্ষিকা অভিভাবক থেকে ছাত্রছাত্রী এবং বন্ধুবান্ধব সকলেই বুদ্ধবাবুর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া নিয়ে গর্বিত। বাঁকুড়ার অন্যতম একটি পর্যটন এলাকা জয়পুর এবার সেই এলাকাতেই শিক্ষকের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া, যা পর্যটন মানচিত্রে আরো এক নতুন আলংকার যোগ হলো বলেই মনে করছেন বুদ্ধিজীবী মহল।
তবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বুদ্ধদেব বাবুর স্ত্রী তিনি বলেন, এই খবর পাওয়া মাত্রই সত্যিই একটা আনন্দের ব্যাপার এই আনন্দ বলে বোঝানোর ভাষা নেই। এটা বুদ্ধদেবের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। তিনি শিক্ষকের পাশাপাশি সংস্কৃতিমনস্ক ও ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ছিলেন। শুধু ক্রীড়া প্রেমী মানুষই নয় তার পাশাপাশি মানুষের আপদে বিপদে সবসময়ই তিনি মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান, এটাই সেই বুদ্ধবাবু।
জয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন বুদ্ধদেব বাবুর গর্বে আমরা গর্বিত। তিনি আমাদের বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলা তথা রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করছেন ।
তবে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও বুদ্ধ বাবুকে ফুল মার্কস দিয়েছে। তারা বলে, আমাদের মাস্টারমশাই আমাদের যা পড়ান তা বলে বোঝানো যাবে না।