অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য , বাঁকুড়া সাংবাদিক সদস্য : মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় এর ২ জন উপাচার্য! হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে অবশেষে জটিলতা কাটল। নতুন করে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন সৈকত মিত্র।
মেয়াদ তখনও শেষ হয়নি। হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সৈকত মিত্রকে।
কেন? নিয়োগে বেনিয়ম! নয়া উপাচার্য হন জয়েন্ট এন্টান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা।
মেয়াদ শেষের আগেই কেন অপসারণ? এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৈকত মিত্র।
বিজ্ঞাপন খারিজের আর্জি জানান তিনি। এদিন মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি কৌশিক চন্দের দাইত্তে। মামলাকারীকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে পুনর্নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হাইকোর্টে রায় ঘোষণা হওয়ার পর মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির হাজির হন সৈকত মিত্র।
কিন্তু রায়ের কপি তখনও আসেনি।
সেকারণে তাকে উপাচার্যের ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন সৈকত। প্রায় চার ঘণ্টা পর উপাচার্যের ঘর থেকে বেরিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মলয়েন্দু সাহা।
এরপর দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে নিজের গাড়িতেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন তিনি।
এদিকে এসএসসি, প্রাথমিক শিক্ষকের পর এবার কলেজে অধ্যাপক নিয়োগেও দুর্নীতি?
মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। মামলা যিনি করেছেন তিনি কটাক্ষের সূত্র বলেছেন - , 'যাঁদের কলেজের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই, তাঁদের গেস্ট লেকচারার হিসেবে কীভাবে নিয়োগ করা হল'? আজ, শুক্রবার মামলার শুনানি।
বাঁকুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে আবার শুধু দুর্নীতিই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জড়িত থাকারও অভিযোগ উঠেছে।
সিবিআই ও ইডির তদন্তের দাবিতে পোস্টার পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বস্তুত, প্রকাশ্যে সভা থেকে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
তাঁর দাবি, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল নেতাদের আত্মীয়, চাকরি দেওয়া হয়েছে! এমনকী, টেট পাস না করেও শুধুমাত্র শাসকদলের ঘনিষ্ট হওয়ার সুবাদে অধ্যাপক হিসেবে চাকরি পেয়েছেন অনেকেই।
