বাংলাদেশ পুলিশ এর উপর ক্ষুব্ধ হলেন সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় নায়ক এবং গায়ক হিরো আলম । কেন তিনি ক্ষুব্ধ হলেন : ------
অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য , রাঙামাটি এক্সপ্রেস : --- বাংলাদেশি পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হিরো আলম। তাঁর উপর পুলিস মানসিক অত্যাচার করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার হিরো আলম। বহুদিন ধরেই হিরো আলমের গান নিয়ে কথা কাটাকাটি চলছে। বিকৃত করে রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুলগীতি গাওয়া নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ পুলিস। তাঁকে গান গাওয়া বন্ধ করতে বলা হয়। এমনকি হিরো আলমকে আটক করে বাংলাদেশ পুলিস।
বিকৃত সুরে রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুলগীতি গাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত নায়ক এবং গায়ক হিরো আলমের উপর বেজায় বিরক্ত বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রিয় মানুষ। বহুদিন ধরে অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন। গত জুলাই মাসে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ আশরাফুল আলম সঈদ ওরফে হিরো আলমকে জিজ্ঞাবাসাদ করেছিল। পুলিসের কাছে সেসময় হিরো আলম মুচলেখা দিয়ে জানিয়েছিলেন তিনি আর কখনো বিকৃত করে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি গাইবেন না।
তবে এবার হিরো আলম অভিযোগ করেছেন, গত সপ্তাহে পুলিস তাঁকে ধ্রুপদী সঙ্গীত বন্ধ করার কথা বলেছে। শুধু তাই নয়, তাঁকে বলা হয়েছে, তিনি নাকি এতটাই কুৎসিত, যে গায়ক হওয়ার যোগ্যতা তাঁর নেই।
তাঁর উপর পুলিস মানসিক অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন হিরো আলম। হিরো আলমের কথায়, 'পুলিস আমাকে সকাল ৬টায় তুলে নিয়ে গিয়ে রাত ৮টায় ছেড়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে আমি কেন রবীন্দ্রসঙ্গীত আর নজরুলগীতি গাই।' গত বৃহস্পতিবার আটক করা হয়েছিব হিরো আলমকে।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিরো আলমের অনুসরণকারীর সংখ্যা আকাশ ছোঁয়া। ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ার প্রায় ২০ লক্ষ, আর ইউটিউবে ১৫ লক্ষ। হিরো আলমের দাবি, তিনি গাইতে ভালোবাসেন, তাঁর গান অনুরাগীরা শোনেন। আর সেকারণেই তিনি আরও বেশি করে গান গাইছেন। এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে হারুদ উল রশিদ জানান, হিরো আলমকে গান গাইতে নিষেধ করা হয়নি, তাঁকে শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং নজরুলগীতি বিকৃত করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর সেকথা উনি মেনেও নিয়েছেন।