অরবিন্দ নায়ক , বীরভূম :- অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য তালাশ সিবিআইয়ের। বোলপুরের ৬ ব্যাংক আধিকারিককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই । তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চাইছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআই দফতরে পৌঁছেছেন ৬ জন ব্যাংক আধিকারিক। সমস্ত নথি নিয়ে বোলপুরে সিবিআই ক্যাম্পে পৌঁছে যায় ব্যাংক আধিকারিকরা। সিবিআই-এর তরফেই সব নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। বুধবারই কলকাতা থেকে বোলপুরে এসে পৌঁছয় সিবিআইয়ের টিম।
প্রসঙ্গত, গোরুপাচার মামলায় টানা ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার সময়ে অনুব্রত মণ্ডল ও ঘনিষ্ঠদের সম্পর্কে বহু তথ্য জোগাড় করেছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে নামে অথবা বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক অনুব্রত মণ্ডল। ওইসব তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই মঙ্গলবার অনুব্রতর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় বিশেষ সিবিআই আদালত। ফলে আগামী ১৪ দিন জেল হেফাজতেই থাকছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সিবিআইয়ের অভিযোগ, গোরুপাচারের সময়ে কাস্টমসের অফিসাররা যদি কাউকে গ্রেফতার করত বা কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত তাহলে তাদের হুমকি দিত অনুব্রতর লোকজন। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ঠিকঠাক কাজই করতে পারত না কাস্টমস অফিসাররা।
উল্লেখ্য, অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির খোঁজ নিতে গিয়ে বোলপুর পুরসভায় কর্মরত বিদ্যুত্ গায়েন নামে এক গাড়ি চালকের বিপুল সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দেখা গিয়েছে মাত্র ২ বছরে বিদ্যুত্ কিনেছেন ৫৬০ কাঠা জমি, যার আনুমানিক মূল্য ৩৩ কোটি টাকার উর্দ্ধে। কে এই বিদ্যুৎ গাইন? বিদ্যুৎ গাইন অনুব্রত মন্ডলের ছায়াসঙ্গী ও সব থেকে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। তিনি বোলপুর পুরসভায় গাড়ি খালাসি হিসাবে কর্মরত ছিলেন পরে অবশ্য প্রমোশন পেয়ে ড্রাইভার হয়েছেন
বোলপুর এলাকায় বিদ্যুতের মোট জমি ৭২ টি। যা প্রায় ৫৬০ কাঠা, কাঠা প্রতি এই জমির মূল্য যদি ৬ লক্ষ টাকাও ধরা হয় তাহলে এই সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩ কোটি টাকার উপরে। বোলপুরের কালিকাপুর মৌজাতেই ৫৭ টি জমি রয়েছে বিদ্যুতের। এই মৌজা এলাকাতেই বাড়ি বিদ্যুৎ গাইনের, পাশাপাশি অনুব্রত মন্ডলের বাড়িও এই মৌজাতেই। এছাড়াও, বোলপুর মৌজায় রয়েছে ২ টি জমি, সুরুল মৌজায় ২ টি জমি, বল্লভপুর মৌজায় ৭ টি জমি, কংকালীতোলা মৌজায় ৪ টি জমি রয়েছে বিদ্যুতের।