অরবিন্দ নায়ক, কলকাতা :- আজ শহরে ফের ED অভিযান? এদিন সকালে CGO কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েছেন ED আধিকারিকরা। একাধিক দলে ভাগ হয়ে বেরিয়েছেন তদন্তকারীরা। আর তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। একাধিক জায়গায় তল্লাশির পরিকল্পনা করেছে বলেই প্রাথমিক সূত্রে খবর। ইডির একটি দল এদিন সকালে গার্ডেনরিচে বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে। অন্য একটি দল যায় মেটিয়াব্রুজ ৩৬ নম্বর ম্যাকলয়েড স্ট্রিটে। গার্ডেনরিচে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে, ম্যাকলয়েড স্ট্রিটে এক আইনজীবীর বাড়িতে গিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা।
গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি। সাহি আস্তাবল এলাকার নিসার খানের বাড়িতে তল্লাশি। তবে কোন তদন্তের জন্য অভিযান, তা স্পষ্ট নয়। দীর্ঘক্ষন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার পর বাড়ির দরজা খোলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। এখনও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মোমিনপুর ১৪ নম্বর বিন্দুবাসি স্ট্রিটে এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর ফ্লাটের এক তলায় ইডির অভিযান চালায়। গার্ডেনরিচ f-7 ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী নিশার খানের বাড়িতে এক ঘন্টা ধরে তল্লাশি করেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
কিছুদিন আগেও শহর কলকাতা ও শহরতলিতে সিবিআই–ইডির হানা শুরু হয়। বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর আপ্ত–সহায়ক এবং নিরাপত্তারক্ষীকে সিজিও কমপ্লেক্সে রাতেই নিয়ে আসেন তদন্তকারী আধিকারীকরা। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই নিরাপত্তারক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও আপ্ত–সহায়ক রবিন্দর সিংকে রাতভর সেখানে জেরা করা হয়। সোদপুরের রাজেন্দ্রপল্লির একটি বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা।
এছাড়া বাগুইআটিতে দীপঙ্কর হীরা নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিগত সোমবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে পাঁচটি গাড়ি চড়ে দশজন সিবিআই আধিকারিক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যায়। রানিকুঠির ঝুনঝুনওয়ালা হাউসে পৌঁছন তাঁরা। ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সূত্রের খবর, সেখান থেকে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন আধিকারিকরা। এক সপ্তাহের মধ্যেই অর্থাৎ শনিবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হয় ইডি-র ৩টি দল। পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায় ৩৪-এ নম্বর ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের একটি বহুতলে এক আইনজীবীর খোঁজে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। তবে কী কারণে হানা তা নিয়ে মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি।