রত্নশাস্ত্রে নবরত্নদের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রতিটি পাথর একটি নির্দিষ্ট গ্রহের সাথে সম্পর্কিত এবং সেই অনুযায়ী ফলাফল দেয়। নবরত্নগুলির মধ্যে রয়েছে মুক্তা, প্রবাল, পোখরাজ, পান্না, নীলকান্তমণি, গোমেদ, হীরা, বৈদুর্য। মুক্তা চাঁদের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। মুক্তা পরার অনেক উপকারিতা রয়েছে। মুক্তা পরলে জীবনে সুখ এবং শান্তি আসে, তবে একটি মুক্তা তখনই ফলদায়ক হয় যখন এটি রাশিচক্র অনুসারে পরিধান করা হয়। জ্যোতিষীর পরামর্শ ছাড়া রত্ন পরিধান করলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন রাশির জাতক জাতিকাদের মুক্তা পরা উচিত নয়।
রত্নশাস্ত্র অনুসারে, মুক্তা চাঁদের সাথে সম্পর্কিত। মুক্তা পরলে মানুষের মন শান্ত থাকে। সে নিজেকে আরাম অনুভব করে। একটি মুক্তা পরা জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সাফল্যের পথ প্রশস্ত করে। জীবনে সম্পদ থাকে এবং উন্নতি সাধিত হয়। যাইহোক, একজন ব্যক্তির তার রাশিচক্র অনুসারে মুক্তা পরিধান করা উচিত। আবার
জ্যোতিষীদের মতে, মকর, তুলা, বৃষ এবং কুম্ভ রাশির জাতকদের মুক্তা পরা উচিত নয়। এই রাশিগুলির মালিক এবং চন্দ্র দেবতার মধ্যে শত্রুতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মুক্তা পরলে মানসিক ও আর্থিক সমস্যা হতে পারে।অন্যদিকে, মুক্তার সাথে নীলকান্তমণি এবং গোমেদ পরা উচিত নয়, এটিও শুভ নয়। এছাড়াও সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদেরও মুক্তা পরা উচিত নয় কারণ চন্দ্র তাদের রাশিতে দ্বাদশ বাড়ির অধিপতি। এমন পরিস্থিতিতে, মুক্তা পরা বিবাহিত জীবনে উত্তেজনা আনতে পারে, তাই মুক্তা বা অন্য কোনও রত্ন পরার আগে অবশ্যই জ্যোতিষীর পরামর্শ নিতে হবে।