এই কীট ছাড়া রেশম তৈরি করা যায় না, জানেন কি এই রেশমপোকার বিশেষত্ব? না জানলে দেখুন এই প্রতিবেদন।

Rangamati Express
0
পোকামাকড়ের সাহায্যে প্রাকৃতিক রেশম প্রস্তুত করা হয়।  এ জন্য কৃষকদের রেশম কীট পালনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।  রেশম কীট তুঁত অর্থাৎ তুঁত গাছে জন্মে।  পোকামাকড় তাদের পাতার লালা থেকে রেশম তৈরি করে।  এগুলো কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।কৃষিতে নিত্যনতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।  নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকের আয় বাড়ানো হচ্ছে।  এ পর্বে কৃষকদের রেশম পোকা পালনে উৎসাহিত করা হচ্ছে।  রেশম পোকা পালন করে কৃষকরা তাদের আয় বহুগুণে বাড়াতে পারে বলে সরকার মনে করে।


কিভাবে রেশম চাষ করা হয় ?
রেশম চাষ, এই বাক্যটি শুনলে আপনার কিছুটা বিশ্রী লাগবে।  কিন্তু দেশে রেশমের চাষ হয় ব্যাপক হারে।এ জন্য কৃষকদের রেশম কীট পালনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।  রেশম কীট তুঁত অর্থাৎ তুঁত গাছে জন্মে।  পোকামাকড় তাদের পাতার লালা থেকে রেশম তৈরি করে। রেশম কীটের বয়স দুই থেকে তিন দিন ধরা হয়।  এটি দৈনিক 200 থেকে 300 ডিম পাড়ার ক্ষমতা রাখে।  ডিমের লার্ভা 10 দিনে বেরিয়ে আসে।  লার্ভা মুখ থেকে একটি তরল প্রোটিন নিঃসরণ করে।  এই প্রোটিন বাতাসের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে এটি শক্ত হয়ে যায় এবং একটি সুতোয় রূপ নেয়।  একে কোকুন বলে।  সিল্ক তৈরিতে কোকুন ব্যবহার করা হয়।  গরম জলে ঢাললে কোকুনে থাকা পোকামাকড় মারা যায়।  এই কোকুন তারপর রেশম মধ্যে কাটা হয়।

পোকামাকড়ের তৈরি এই সুতো শাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।  এটি থেকে সিল্কের দোপাট্টাও তৈরি করা হয়। ভারতীয় পোশাকে সিল্ক দিয়ে তৈরি পোশাকের গুরুত্ব অনেক।  প্রতি কেজি এই সুতার দাম ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত।  এমতাবস্থায় রেশম পোকা পালন করে কৃষক অল্প সময়ে লক্ষাধিক মুনাফা অর্জন করতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)