বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির রান্নাঘর এবং সেখানে তৈরি খাবার সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে। এটি অনুসরণ করে একজন ব্যক্তি তার জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারেন। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে রান্নাঘরে খাবার তৈরি হলে প্রথমে ভগবানকে অর্পণ করতে হবে। এটি করলে ঘরে সর্বদা সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি থাকে।
রান্নাঘর সম্পর্কিত বাস্তুশাস্ত্রে বিশেষ নিয়ম রয়েছে। এর অনুসরণ করলে সম্পদ, যশ এবং সুখ-শান্তি লাভ করা যায়। পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সারা বছর ভালো থাকে। প্রতিদিন এই দিকে খেয়াল রাখলে ঘরের নেতিবাচকতা দূর হতে পারে। বাস্তু নেতিবাচক এবং ইতিবাচক শক্তির নীতিতে কাজ করে। এই বিদ্যায় ঘরের দোষ-ত্রুটি দূর করার নিয়ম দেওয়া হয়েছে। বাড়ির বিভিন্ন অংশের জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় যখনই খাবার তৈরি করা হয়, সর্বপ্রথম ভগবানকে নিবেদন করতে হবে। এমনটা করলে ঘরে সুখ আসে বলে বিশ্বাস করা হয়।
রান্নাঘরে মন্দির তৈরি করা উচিত নয়। মন্দির থাকলে ধৈর্যের অভাব দেখা দিতে পারে। রান্নাঘরে মন্দির থাকলে তার জায়গাটি খুব পরিষ্কার রাখুন এবং মন্দিরটিও ঢেকে রাখুন। বাস্তু দোষ নাশক যন্ত্রও ঘরে রাখতে পারেন। রান্নাঘরে কখনই নোংরা কাপড় ও আবর্জনা রাখবেন না। এর ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও মহিলাদের কখনই চুল খোলা রেখে খাবার রান্না করা উচিত নয়।রান্নাঘরও বাথরুমের আশেপাশে তৈরি করা উচিত নয়। বাড়িতে যদি এমন হয় তবে বাথরুমের দরজা সবসময় বন্ধ রাখুন এবং সম্ভব হলে তার উপর পর্দা রাখুন। এর ফলে বাথরুমের নেতিবাচক শক্তি রান্নাঘরে প্রবেশ করবে না। রান্নাঘরে ঢোকার সময় খেয়াল রাখতে হবে কাপড় যেন পরিষ্কার থাকে।
এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্য/বিষয়বস্তু/গণনার সত্যতা বা নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা হয় না। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য প্রদান করা, পাঠক বা ব্যবহারকারীরা এটিকে শুধুমাত্র তথ্য হিসাবে গ্রহণ করুন। এ ছাড়া যেকোনো উপায়ে এর ব্যবহারের দায়ভার ব্যবহারকারী বা পাঠকের নিজেরই থাকবে।