ভারতবর্ষের যে কয়েকটি জাগ্রত মন্দির রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো দেবাদিদেব মহাদেবের তারকেশ্বর মন্দির।
কিন্তু কীভাবে সৃষ্টি হল তারকেশ্বরের স্বয়ম্ভূ শিবলিঙ্গ ? কে প্রতিষ্ঠা করেছিল এই মন্দির ? কীই বা তাঁর মহিমা ? চলুন জেনে নেওয়া যাক তারকেশ্বরের মন্দিরের প্রচলিত ইতিহাস।
কথিত রয়েছে, এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এক অবাঙালি শিবের উপাসক ৷ তাঁর নাম বিষ্ণুদাস ৷ বিষ্ণু দাসের এক ভাই শিবলিঙ্গের সন্ধান পেয়েছিলেন ৷ জঙ্গলের মধ্যে থেকে এই লিঙ্গটি নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিষ্ণুদাস ৷
তারপর বিষ্ণুদাসের এক ভাই দেখতে পান, জঙ্গলের মধ্যে একটি পাথরখণ্ড রয়েছে ৷ গরুরা প্রতিদিন এসে ওই খণ্ডের উপর দুধ দান করে যায় ৷
বাড়িতে এসে দাদাকে সব কথা বলেন তিনি ৷তখনই স্বপ্নাদেশ পান বিষ্ণুদাস ৷ স্বপ্নে মহাদেব নির্দেশ দেন, ওই পাথরটিই তাঁর রূপ ৷
এরপর বিষ্ণু জঙ্গলের মধ্যে মহাদেবের মন্দির তৈরি করেন ৷ শিবের তারকেশ্বরের রূপে পূজিত হতে থাকেন মহাদেব ৷তারকেশ্বরের মহাদেবকে বলা হয় স্বয়ম্ভূলিঙ্গ ৷
কারণ তারকেশ্বরের শিবলিঙ্গ কেউ স্থাপন করেননি। অন্যদিকে, গঙ্গার পলল ভূমিতে ওই ধরনের পাথর মেলাও মুশকিল। তাই মনে করা হয়, শিব এখানে স্বয়ং অবির্ভূত হয়েছিলেন