গলায় জ্বালাপোড়া হলে এই ঘরোয়া উপায়গুলো মেনে চলুন, শিগগিরই আরাম পাবেন

Rangamati Express
0
প্রায়ই মানুষের গলা জ্বালা-যন্ত্রণার সমস্যা থাকে।  যাইহোক, অ্যাসিড তৈরির কারণে বা গ্যাসের কারণে এই সমস্যা হয়।  কিন্তু অনেক সময় ধূমপান, অ্যালার্জি, ঠান্ডা, ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে গলা জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে এক সপ্তাহ পরেও গলার জ্বালাপোড়া দূর হয় না। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আমরা আপনাকে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার বলতে যাচ্ছি, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার গলার জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন।  আসুন জেনে নিই সেই টিপসগুলো সম্পর্কে।


1) নারকেল জল পান করুন:- নারকেলের জল পান করলে তাৎক্ষণিকভাবে গলার জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।  আসলে এটিতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  যা গলার জ্বালাপোড়ায় অনেকটাই আরাম দেয়।  যখনই কারও গলায় জ্বালাপোড়া হয়, তখন সাধারণ জলের পরিবর্তে নারকেল জল খান।

2) মধু :- মধুতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে।  যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।  যারা গলা জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও মধু খুবই উপকারী।  এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাওয়া যায়, যা গলার জ্বালাপোড়া দূর করে তাৎক্ষণিক আরাম দেয়।


3) হলুদ গ্রহণ:-  হলুদ অবশ্যই প্রতিটি বাড়িতে থাকে।  এতে অনেক ধরনের ঔষধি গুণ পাওয়া যায়।  যাদের গলায় জ্বালাপোড়া হয় তাদের জন্য হলুদ খুবই উপকারী।  প্রকৃতপক্ষে, এতে উপস্থিত কারকিউমিন উপাদান রয়েছে যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল।  এর ফলে আপনার গলার ইনফেকশন চলে যায়।  এর জন্য এক গ্লাস হালকা গরম জলেতে হলুদ মিশিয়ে পান করতে হবে।

4) লবণ জল দিয়ে গার্গল করুন:- নোনা জল দিয়ে গার্গল করা,এটি ব্যবহারে অনেক উপকার পাওয়া যায়।  গলায় জ্বালাপোড়া হলে লবণ জল দিয়ে গার্গল করলে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়।  এর জন্য এক গ্লাস হালকা গরম জলেতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করতে হবে।  আপনি চাইলে সামান্য লবণ জলও পান করতে পারেন।


এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষাগত এবং তথ্যগত উদ্দেশ্যে।  কোনো প্রতিকার বা প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আমরা কোনো ধরনের চিকিৎসা পরামর্শকে সমর্থন করি না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)