আচার্য চাণক্যের 'চাণক্য নীতি' হল নীতির একটি চমৎকার সংগ্রহ, এই নীতিগুলি মানুষের জীবনকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়। চাণক্যের শুধু রাজনীতি নয়, সমাজের প্রতিটি বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি ছিল। অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি ছাড়াও আচার্য চাণক্য ব্যবহারিক জীবনের অনেক কথা বলেছেন।
তার কথা ও নীতি আজও মানুষের কঠিন সময়ে অনেক সাহায্য করে। এমন অনেক কথা আচার্য চাণক্য বলেছেন, যেগুলো সঠিকভাবে মেনে চললে তাকে কখনো হতাশ হতে হয় না। চাণক্য নীতি অনুসারে, মানুষের যদি অন্যকে বিচার করার ক্ষমতা থাকে, তবে তারা তাদের জীবনে কখনও পরাজিত হতে পারে না।তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম মহান অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। মৌর্য রাজবংশের সাফল্যের পিছনে ছিল চাণক্যের কূটনীতি। মহান কৌশলবিদ এবং অর্থনীতিবিদ চাণক্য তার নীতির জোরে নন্দ রাজবংশকে ধ্বংস করেছিলেন এবং তার নীতির কারণে একজন সাধারণ শিশু চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে মগধের সম্রাট বানিয়েছিলেন।
আচার্য চাণক্য তার নীতিশাস্ত্রে সম্পদ, সম্পত্তি, স্ত্রী এবং বন্ধুত্ব সহ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে গভীরভাবে কথা বলেছেন। আজ আমরা আচার্য চাণক্যের এই চিন্তার আরও একটি বিশ্লেষণ করব। আচার্য চাণক্য নারী সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন। যেমন তাদের স্বভাব, তাদের স্বভাব, তাদের চিন্তাভাবনা এবং কোন সময়ে তারা কেমন আচরণ করে। এসব বিষয়ে বিশেষ গবেষণা করা হয়েছে। চাণক্য তার নীতি বইতে লিখেছেন যে কিছু মহিলা আছে যাদেরকে কখনই বিশ্বাস করা উচিত নয়।
এই ধরনের মহিলাদের বিশ্বাস করবেন না:-
আচার্য চাণক্য (চাণক্য নীতি) অনুসারে, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং খারাপ চরিত্রের মহিলার জন্য বলা হয়েছে যে এই জাতীয় মহিলা কখনই বিশ্বাসের যোগ্য নয়। সে সবসময় অন্য পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এমতাবস্থায়, তার স্বামী তার জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু কারণ সেখানে সে তার উদ্দেশ্যের মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
নারীর সৌন্দর্য দেখে তাকে বিশ্বাস করা বড় ভুল হতে পারে। তার গুণাবলী বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত, সৌন্দর্যের চেয়ে নারীর সংস্কৃতি ও শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
যে নারীর ধর্মে সামান্য বিশ্বাস আছে, তাকে কখনোই বিশ্বাস করা উচিত নয়।
আচার্য চাণক্যের (চাণক্য নীতি) মতে, একজন নারীর মধ্যে লোভের অনুভূতি খুবই বিপজ্জনক। এটা শুধু ঘরের শান্তিই নষ্ট করে না, অনেক সময় পুরো পরিবারকে ধ্বংসের কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
মা সরস্বতী এবং মা লক্ষ্মী উভয়েই একজন অহংকারী মহিলার উপর ক্রুদ্ধ থাকেন। এমতাবস্থায় সে তার জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে পারছে না। একই সঙ্গে তার এ ধরনের আচরণ সুখ-সমৃদ্ধিও নষ্ট করে।
এখানে দেওয়া তথ্য জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর ভিত্তি করে এবং শুধুমাত্র তথ্যের জন্য দেওয়া হচ্ছে। আমরা এটি নিশ্চিত করি না। কোনো প্রতিকার গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।